‘চাকরিতে প্রবেশসীমা নিয়ে মন্ত্রীর বক্তব্যে অসামঞ্জস্যপূর্ণ’
প্রকাশিত : ১৮:২০, ৮ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১৮:২৪, ৮ জুন ২০১৮
সরকারি চাকরিতে প্রবেশসীমা আপাতত বাড়ছে না জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এর এমন কথার কোন যুক্তি নেই। কেননা ১০ বছর পর তার ‘আপাতত’ শব্দটি তার দল থেকে প্রকাশিত প্রবন্ধের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপুর্ণ বলে দাবি করছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ ।
আজ শুক্রবার রাজধানী ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ৬ জুন সরকারি দলের সদস্য সেলিনা বেগমের চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার কোন উদ্যোগ আপাতত নেই। যেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বের প্রকাশিত উন্নয়নের ধারা শীর্ষক প্রবন্ধে বলা হয়েছিল ‘আধুনিক ও বহুমূখী প্রশাসনের জন্য ৩ লাখ পদ তৈরি করা হয়েছে। এবং চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা ৩২ বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু মন্ত্রীর এমন ‘আপাতত’ বক্তব্যে কতটুকু সময়ের ব্যাপ্তি বুঝিয়েছেন তা পরিষ্কার নয়। কেননা ১০ বছর পর তার ‘আপাতত’ শব্দটি তার দল থেকে প্রকাশিত প্রবন্ধের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপুর্ণ।
সংগঠনের আহবায়ক সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেছেন, বর্তমানে উল্লেখ করার মত সেশনজট নেই বললেই চলে। কিন্তু বাস্তবে কিছু সেশনজটমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় একটি দেশের সামগ্রীক চিত্র প্রতিনিধিত্ব করেনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের অধিভুক্ত ৭ সরকারি কলেজের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে নিয়মিত ২০১৪-১৫,২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে অনিয়মিত ও গ্রেড উন্নয়ন এবং ২০১২-১৩, ২০১১-১২, ২০১০-১১, ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে (বিশেষ) গ্রেড উন্নয়ন পরীক্ষার পরীক্ষার্থীদের ২০১৭ সালের ৩য় বর্ষ স্নাতক পরীক্ষার সময়সূচী ও কেন্দ্র তালিকা প্রকাশিত হয় ২০১৮ সালে। এ সময়সূচী অনুযায়ী ২০১৭ সালের স্নাতক ২য় বর্ষ (নিয়মিত, অনিয়মিত, গ্রেড উন্নয়ন) পরীক্ষা গত ৩১ মে থেকে শুরু হয়। যা ২৮ জুলাই পর্যন্ত চলবে। ২০১৪-১৫ সেশনের স্নাতক ৩য় বর্ষের পরীক্ষা ২০১৯ সালে হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ২০১২ সালের স্নাতকের ফলাফল ২০১৫ সালে, তেজগাঁও কলেজের ২০১৩ সালের ফরাফল প্রকাশ হয় ২০১৬ সালে, সিদ্বেশ্বরী কলেজের ২০১৪ সালের ব্যবসা প্রশাসনের স্নাতকের ফলাফল প্রকাশ হয় ২০১৭ সালে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ২০১৩ সালের ফলাফল প্রকাশ হয় ২০১৫ সালে। ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল বর্তমান সরকারের সময়কাল। আর জনপ্রশাসন মন্ত্রী একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায় এড়াতে পারেনা। কেননা এই সেশনজটে পীড়িত মানুষরাই তাদের অীধকার রক্ষায় তাকে নির্বাচিত করেছিল। মন্ত্রীর এ ধরণের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান সাধারন ছাত্র পরিষদের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সাধারন ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক হারুন অর রশিদ, লিউনা হক, মারজুক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
টিআর/এসি
আরও পড়ুন